🔥1 মার্কের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ) :
[এই ধরনের প্রশ্নের জন্য অ্যাপে দেওয়া মকটেস্টগুলি ভালোভাবে প্র্যাকটিস করো]
1. অনাক্রম্যতায় অংশ নেয় এমন একটি উৎসেচকের নাম লেখো।
উঃ- লাইসোজাইম
2. অ্যান্টিজেনের যে অংশের সাথে অ্যান্টিবডি যুক্ত হয় সেই অংশকে কী বলে ?
উঃ- এপিটোপ
3. অ্যান্টিবডিগুলি কোন্ প্রক্রিয়ায় অ্যান্টিজেনকে আগ্রাসী কোষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলে ?
উঃ- অপশনাইজেশন
4. অ্যান্টিবডির চেন দুটি কী দিয়ে সংলগ্ন থাকে ?
উঃ- ডাইসালফাইড বন্ধন দ্বারা
5. অ্যান্টিবডিতে কয়টি পলিপেপটাইড শৃঙ্খল থাকে ?
উঃ- দুটি হালকা ও দুটি ভারী মিলে মোট চারটি
6. আমাদের দেহে কত প্রকার অ্যান্টিবডি বা ইমিউনোগ্লোবিউলিন গঠিত হয় ?
উঃ- পাঁচ প্রকার। যথা– IgG, IgA, IgM, IgD এবং IgE
7. অশ্রুতে কোন্ শ্রেণীর অ্যান্টিবডি দেখা যায় ?
উঃ- IgA
8. কোন্ প্রকার অ্যান্টিবডির গঠন ভাইমার প্রকৃতির হয় ?
উঃ- IgA
9. ভ্রূণের দেহে প্রথম সংশ্লেষিত অ্যান্টিবডি কী ?
উঃ- IgM
10. প্রাথমিক ইমিউন রেসপন্সে কোন্ অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয় ?
উঃ- IgM
11. কোন্ অ্যান্টিবডি মাতৃরক্ত থেকে প্লাসেন্টা অতিক্রম করে ভ্রূণের রক্তে যায় ?
উঃ- IgG
12. সব থেকে বেশি আণবিক গুরুত্বের অ্যান্টিবডি কোনটি ?
উঃ- IgM
13. রক্তে কোন্ অ্যান্টিবডি বা ইমিউনোগ্লোবিউলিনের ঘনত্ব সর্বাধিক ?
উঃ- IgG
14. কোন্ কোন্ কোষ অনাক্রমণ সাড়া জাগাতে সাহায্য করে ?
উঃ- T কোষ, B কোষ, ম্যাক্রোফেজ প্রভৃতি কোষ
15. রসভিত্তিক অনাক্রম্যতার জন্য দায়ী কোষ কোনটি ?
উঃ- B লিম্ফোসাইট
16. কোষভিত্তিক অনাক্রম্যতার প্রধান কোষ কোনটি ?
উঃ- T লিম্ফোসাইট
17. লিম্ফোকাইন কোন্ কোষ থেকে ক্ষরিত হয় ?
উঃ- T লিম্ফোসাইট
18. APC -এর পুরো নাম কী ?
উঃ- অ্যান্টিজেন প্রেজেন্টিং সেল (Antigen Presenting Cell)
19. অ্যান্টিবডির সৃষ্টির দ্বারা রোগ প্রতিরোধ করা কোন্ রক্তকণিকার কাজ ?
উঃ- B লিম্ফোসাইট
20. কোন্ প্রকার কোষকে স্মৃতিকোষ বলা হয় ?
উঃ- প্রাথমিক সংক্রমণের স্মৃতিবহনকারী যে কোষ পুনরায় অ্যান্টিজেনের সংক্রমণকালে অ্যান্টিবডি উৎপাদনের মাধ্যমে অ্যান্টিজেনটিকে প্রতিহত করে তাদের স্মৃতিকোষ বলে।
21. ইমিউনোলজির জনক কাকে বলা হয় ?
অথবা, কাকে অনাক্রমতাবিদ্যার জনক বলা হয় ?
উঃ- এডওয়ার্ড জেনার
22. গুটিবসন্তের টিকা কে আবিস্কার করেন ?
উঃ- এডওয়ার্ড জেনার
23. MMR -এর পুরো নাম কী ?
উঃ- মাম্পস্ মিসলস রুবেল্লা (Mumps Measles Rubella)
24. BCG টিকা কোন্ রোগ প্রতিরোধের জন্য দেওয়া হয় ?
উঃ- যক্ষ্মা রোগ
25. BCG -এর সম্পূর্ণ নাম কী ?
উঃ- বেসিলাস ক্যামেট গুয়েরিন (Bacillus Calmettee Guerin)
26. টিউবারকিউলোসিস রোগের টিকার নাম কী ?
উঃ- BCG
27. DPT -এর পুরো নাম কী ?
উঃ- ডিপথেরিয়া পারটুসিস টিটেনাস
28. TT টিকা কোন্ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে দেওয়া হয় ?
উঃ- ধনুষ্টংকার
29. OPV -এর পুরো নাম কী ?
উঃ- ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন
30. কোন্ ভ্যাকসিন হেপাটাইটিস-B রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ?
উঃ- হেপাটাইটিস-B ভ্যাকসিন
31. মেলিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার জীবাণুর নাম কী ?
উঃ- প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম
32. ম্যালেরিয়া রোগের জন্য দায়ী অনুজীবটির প্রকৃতি কী ?
উঃ- প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স
33. ম্যালেরিয়া রোগের প্রাথমিক ও অন্তর্বর্তী পোষকের নাম কী ?
উঃ- প্রাথমিক পোষক হল অ্যানোফিলিস মশা এবং অন্তর্বর্তী পোষক হল মানুষ
34. ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণুর বাহক কে ?
উঃ- স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা
35. ম্যালেরিয়া বাহকের বিজ্ঞানসম্মত নাম কী ?
উঃ- অ্যানোফিলিস মিনিমাস
36. নিউমোনিয়া রোগ কোন্ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয় ?
উঃ- স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি
37. নিউমোনিয়া রোগে কোন্ দেহতন্ত্র আক্রান্ত হয় ?
উঃ- শ্বসনতন্ত্র বা শ্বাসতন্ত্র
38. টিটেনাস সংক্রমণকারী জীবাণুর নাম কী ?
উঃ- ক্লসট্রিডিয়াম টিট্যানি
39. ম্যালেরিয়া রোগ জীবাণুর কোন দশাটি মানুষের দেহে সংক্রামিত হয় ?
উঃ- স্পোরোজয়েট দশা
40. মানবদেহে ফুসফুস আক্রমণকারী একটি ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো ?
অথবা, যক্ষ্মা রোগের প্যাথোজেনের নাম লেখো।
উঃ- মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস
41. ডেঙ্গু কী ?
উঃ- এডিস ইজিপ্টাই নামক স্ত্রী মশা দ্বারা সংক্রামিতা মানুষের ভাইরাস ঘটিত রোগ হল ডেঙ্গু।
42. Breakbone Fever -এর জীবাণুর নাম কী ?
উঃ- ফ্ল্যাভি ভাইরাস
43. ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ লেখো।
উঃ- অক্ষিগোলকে ব্যাথা, অস্থিসন্ধি ও পেশীতে ব্যথা, ত্বকে র্যাশ, জ্বর ইত্যাদি
44. ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহকের নাম কী ?
উঃ- এডিস মশকী
45. একটি ভাইরাস ঘটিত জলবাহিত রোগের নাম লেখো।
উঃ- হেপাটাইটিস-A
46. কোন্ ভাইরাস ঘটিত রোগে যকৃত প্রদান ঘটে ?
উঃ- হেপাটাইটিস
47. HAV দ্বারা কী বোঝানো হয় ?
উঃ- হেপাটাইটিস-A ভাইরাস
48. HBV কী ?
উঃ- HBV হল হেপাটাইটিস-B (DNA যুক্ত) ভাইরাস, যার সংক্রমণে হেপাটাইটিস-B নামক মারাত্মক রোগ হয়।
49. মানবদেহে রক্তবাহিত ভাইরাস ঘটিত কোন্ রোগে যকৃত সংক্রামিত হয় ?
উঃ- হেপাটাইটিস-B
50. HIV -র পুরো নাম কী ?
উঃ- হিউম্যান ইমিউনাডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস
51. AIDS -এর পুরো নাম কী ?
উঃ- অ্যাকুয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম
52. কোন্ ভাইরাস মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্নরূপে ধ্বংস করে ?
উঃ- AIDS ভাইরাস বা HIV
53. কোন্ ভাইরাসকে রেট্রোভাইরাস বলে ?
উঃ- যে ভাইরাসে প্রজনন বস্তু RNA প্রকৃতির তাকে রেট্রো ভাইরাস বলে। যেমন– AIDS ভাইরাস বা HIV
54. কোন্ তারিখে বিশ্ব AIDS দিবস পালিত হয় ?
উঃ- 1 ডিসেম্বর
55. একটি সংক্রামক ও একটি অসংক্রামক রোগের নাম লেখো।
উঃ- সংক্রামক রোগ হল যক্ষ্মা এবং অসংক্রামক রোগ হল থ্যালাসেমিয়া
56. ধৌতকরণে ব্যবহৃত একটি জীবাণুনাশকের নাম লেখো।
উঃ- অ্যালকোহল
57. ধৌতকরণের প্রধান উদ্দেশ্য কী ?
উঃ- জীবাণুর সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করা।
58. বিশ্ব হাত ধৌতকরণ দিবস কোন্ দিনটি ?
উঃ- 15 অক্টোবর
59. একটি অ্যান্টিসেপটিকের নাম লেখো।
উঃ- মারকিউরোক্রোম
60. একটি সংক্রমণ রোধক -এর নাম লেখো।
উঃ- ফিনাইল
🔥 2 মার্কের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
1. অনাক্রম্যতা কাকে বলে ?
উঃ- আমাদের দেহে পরিবেশ থেকে কোনো রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু (প্যাথোজেন) বা বিজাতীয় ক্ষতিকারক বস্তু প্রবেশ করলে দেহের মধ্যে এই জীবাণু বা ক্ষতিকারক বস্তুর বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। মানবদেহের রোগ জীবাণু ও বিজাতীয় পদার্থের বিরুদ্ধে এই প্রতিরোধ ক্ষমতাই অনাক্রম্যতা বা ইমিউনিটি নামে পরিচিত।
2. সহজাত অনাক্রম্যতা কাকে বলে ?
উঃ- জীবদেহ, যে সকল অনাক্রম্যতা জন্মগতভাবে বংশগতির মাধ্যমে লাভ করে থাকে, তাদের সহজাত অনাক্রম্যতা বা অনির্দিষ্ট বা বংশগত অনাক্রম্যতা বলে। যেমন– কুকুরের মারণরোগ ‘ডিসটেমপার’ এর জীবাণুর বিরুদ্ধে মানুষ জন্মলগ্ন থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। একারণে এই রোগটি কখনোই মানুষের দেহে হয় না।
3. অর্জিত অনাক্রম্যতা কাকে বলে ?
উঃ- জন্মের পর নির্দিষ্ট জীবাণু, জীবাণুসৃষ্ট টক্সিন বা অ্যান্টিটক্সিন সমৃদ্ধ সিরাম দেহে প্রবেশের দ্বারা নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে যে অনাক্রম্যতা গড়ে ওঠে, তাকে অর্জিত অনাক্রম্যতা বলে। যেমন– সাপে কামড়ালে মানুষের দেহে এই ধরনের অ্যান্টিবডি ইনজেকশন (অ্যান্টিভেনাম) দেওয়া হয়।
4. সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় অনাক্রম্যতা কাকে বলে ?
উঃ- সক্রিয় অনাক্রম্যতা : দেহে প্রবিষ্ট জীবাণু বা অ্যান্টিজেনের প্রভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যে অনাক্রম্যতা সৃষ্টি হয়, তাকে সক্রিয় অনাক্রম্যতা বা সক্রিয় অর্জিত অনাক্রম্যতা বলে। যেমন– বসন্ত বা হামের সংক্রমণে বা ভ্যাকসিনের সাহায্যে যে অনাক্রম্যতা সৃষ্টি হয়।
◾ নিষ্ক্রিয় অনাক্রম্যতা : দেহের বাইরে থেকে কোঐন অ্যান্টিবডি দেহে প্রবেশ করিয়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টির পদ্ধতিকে নিষ্ক্রিয় অনাক্রম্যতা বা নিষ্ক্রিয় অর্জিত অনাক্রম্যতা বলে। যেমন– ঘোড়ার দেহে প্রস্তুত অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ AVS দিয়ে সাপ কামড়ানো রোগীর চিকিৎসা।
7. অ্যান্টিজেন কাকে বলে ?
উঃ- যে সমস্ত বহিরাগত বস্তু প্রাণীদেহে প্রবেশ করলে, অনাক্রম্যতন্ত্র সক্রিয় হয়ে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে, তাদের এন্টিজেন বা ইমিউনোজেন বলে। যেমন– বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফুলের রেণু ইত্যাদি।
8. অ্যান্টিবডি কাকে বলে ?
উঃ- বাইরে থেকে প্রবিষ্ট আ্যান্টিজেনের উপস্থিতিতে দেহের B লিম্ফোসাইট কোষ থেকে উৎপন্ন যে প্রোটিন-ধর্মী উপাদান ওই অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তাকে অ্যান্টিবডি বলে।
9. প্যারাটোপ ও এপিটোপ কাকে বলে ?
উঃ- প্যারাটোপ : অ্যান্টিবডির যে অংশ অ্যান্টিজেনের সঙ্গে সংযোগ-স্থাপন করে তাকে প্যারাটোপ বলে।
◾ এপিটোপ : অ্যান্টিজেনের যে অংশের সঙ্গে প্যারাটোপের সংযোগ স্থাপিত হয়, তাকে এপিটোপ বলে।
10. কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতা বলতে কী বোঝো ?
উঃ- যে অর্জিত অনাক্রম্যতা T-লিম্ফোসাইট বা T-কোশের সাহায্যে বিজাতীয় বস্তুকে শনাক্ত, আক্রমণ ও ধ্বংস করে, তাকে কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতা বলে।
11. রসভিত্তিক অনাক্রম্যতা বলতে কী বোঝো ?
উঃ- যে অর্জিত অনাক্রম্যতা লিম্ফোসাইট দ্বারা উৎপাদিত অ্যান্টিবডির সাহায্যে নির্দিষ্ট রোগ জীবাণুকে ধ্বংস করে, তাকে রস ভিত্তিক অনাক্রম্যতা বলে।
12. অনাক্রম্যতা সাড়া বা ইমিউন রেসপন্স কাকে বলে ?
উঃ-
